আমি নিজে ওয়েস্টার্ন ভক্ত। সেই স্কুলজীবন থেকে। গেল আট-দশ বছর ধরে আমি ওয়েস্টার্ন কিনিনি। সম্ভবত ‘বেপরোয়া’ গেলো আট-দশ বছরে আমার কেনা প্রথম ওয়েস্টার্ন। কারণ হলো ছোট ছোট ওয়েস্টার্নগুলো ধরতে পড়তেই খতম! এই না যে ছোট সব ওয়েস্টার্ন ঠিকঠাক হয়নি। অনেক ছোট ওয়েস্টার্নও অনেক ভালো। তবে ‘ডেথ সিটি’, ‘বাথান’, ‘দাবানলএমন আরো বড় কলেবরের ওয়েস্টার্নগুলো বেশি ভালো লাগতো। ‘বেপরোয়া’ সেই ড়্গেিধটা মিটিয়েছে। ৪৮০ পৃষ্ঠার বিশাল কলেবরের বই। সম্ভবত একক বই হিসেবে ওয়েস্টার্নের ড়্গেেত্র এটাই রেকর্ড (আমার জানামতে)।
নোরা রবার্টস এবং জ্যাক রেডম্যানের কেমিস্ট্রিটা ভালো লেগেছে। বহু পূর্বে পঠিত ওয়েস্টার্ন ‘লুটতরাজ’ এর কথা মনে করিয়েছে নোরার টিকে থাকার সংগ্রাম। অ্যাপাচি অ্যাকশন ছিল। রেডদের উপরে সাদাদের অত্যাচারের কথা লেখা ছিল। খনির ব্যাপারটা ছিল ধোঁয়াশা। ভেতরে একটা অভিযানের কথা বলা যেত। র্যাঞ্চার ভাতৃদ্বয়ের চরিত্র দুটো খুব বেশি সবল ছিল না। কুটিল কার্লোটার চরিত্র সাবলীল ছিল। মেলার ভেতরে শ্যুটআউট প্রতিযোগিতার ব্যাপারটা অনেকদিন পর কোনো ওয়েস্টার্নে উপভোগ করলাম। মজার ব্যাপার, এই ওয়েস্টার্নে চুলোচুলির ঘটনাও আছে। এনজয় করেছি। পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। এই বইটাতে ওয়েস্টার্ন হিসেবে নারী চরিত্রগুলোকে বেশ সবলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনকি শেষ অ্যাকশনটাও নারী নিয়ন্ত্রিত। সর্বোপরি অনেকদিন পর বৃহৎ কলেবরের ‘বেপরোয়া’ মাসুদ আনোয়ার সাহেবের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।
পলাশ পুরকায়স্থ, সিলেট সদর, সিলেট