‘কাসা দিয়াবলো’ গড়পড়তা ওয়েস্টার্ন থেকে বেরিয়ে এসে যেন উনিশ শতকের যুক্তরাষ্ট্রের এক জীবšত্ম আখ্যানে পরিণত হয়েছে। নিউ মেক্সিকোর রৌদ্রস্নাত মরম্নভূমি, কাসা দিয়াবলো শহরের ধুলোমাখা রা¯ত্মা, আর প্রতিটি চরিত্র এই উপন্যাসে নতুন নতুন দৃষ্টিকোণ যোগ করেছে। আর সবকিছু মিলিয়ে, ‘কাসা দিয়াবলো’ উপন্যাসটি স্বপ্নাবিষ্টের মতো উপভোগ করা যায়।
উপন্যাসের গদ্যের ঢং বুনো পশ্চিমের পুরো রসটিকে যেন ধারণ করতে পেরেছে। তাতে উপন্যাসের ঘটনাবলী যেন আরও প্রাণবšত্ম হয়েছে। কাব্যের ছন্দে ছন্দে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিবরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। লেখক যেন সেই নির্দয় আমেরিকান পশ্চিমের ছবি এঁকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। পশ্চিমের এই ছবি দেখলে মন্ত্রমুগ্ধ যেমন হতে হয়,
তেমনি মনে হয় এই বুঝি নিউ মেক্সিকোর চড়া রোদে পুড়ে গেল চামড়া। এই ছবির দিকে তাকালেই যেন নাকে খেলে বেড়ায় পোড়া বারম্নদের সুবাস।
‘কাসা দিয়াবলো’ উপন্যাসে লেখক ওয়েস্টার্ন উপন্যাসের সাথে সাথে এঁকেছেন সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের গল্প, বন্ধুর প্রতি বিশ্ব¯ত্মতার আখ্যান, ন্যায়ের দাবি আদায়ের চিরকালীন সংগ্রামের এক অনন্য গাথা। গল্পের চরিত্র, বিন্যাস আর সুচতুরভাবে বোনা পস্নটÑ এই তিনের সমন্বয় টেনে লেখক একই সাথে শিহরিত করেছেন, চমকও দিয়েছেন। আমার মতে, যারা একই সাথে ঐতিহাসিক সত্য, দুর্দাšত্ম চরিত্র এবং গল্পের শেষ পৃষ্ঠা পর্যšত্ম পড়তে ইচ্ছা হবে এমন প্লটের উপন্যাস পড়তে চানÑ তাদের জন্য এই ‘কাসা দিয়াবলো’ অবশ্যপাঠ্য।
রাতুল হাসান, টোলারবাগ, ঢাকা।