Homeবুক রিভিউ‘জলদস্যু’ প্রথাগত ওয়েস্টার্নের খানিকটা বাইরে

‘জলদস্যু’ প্রথাগত ওয়েস্টার্নের খানিকটা বাইরে

ওসমান সিরিজের প্রথম বই ‘জলদস্যু’ বহুদিন ধরে আউট অব প্রিন্ট, তাই আমার আর হাত দেওয়া হয়ে ওঠেনি। শেষকালে গত আট ফেব্রম্নয়ারি, ২০২৪ এর বইমেলায় যখন বেঙ্গলবুকসের স্টলে ‘জলদস্যু’র দেখা মিলল, বগলদাবা করে বাড়ি ফিরলাম।
রওশন জামিলের লেখায় গুলির নিষ্ঠুরতা আছে, যেটুকু বলতে চান, খুবই স্বল্প সংখ্যক শব্দে প্রকাশ করতে পারেন। আর এই চাঁছাছোলা ভাষার একটা সৌন্দর্য আছে, উনিশ শতকের আমেরিকার বুনো পশ্চিমের সৌন্দর্য। ‘জলদস্যু’ও চাঁছাছোলা কথায় শুরম্ন, প্রথম থেকে শেষ পর্যšত্ম একটা চড়া সুরে, উঁচু লয়ে চলেছে গল্প।
বিনা বিচারে জেলের ঘানি টানার উপক্রম হয়েছিল মূল চরিত্রের। সেখান থেকে ঘটনাচক্রে এবং একটি বংশের গোড়াপত্তন করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পয়লা ওসমানের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে গল্পের পালে হাওয়া লাগে। মাঝ সমুদ্রের বুকে দুরাত¥াদের আক্রমণে নিজের স্বাধীনতা হারানো, বন্ধু পাতানো, শেষে নিজের স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়ার আখ্যান পেতে পেতে গল্পের মাঝ অংশ কেটে যায়। ক্লাইম্যাক্স গোপন রাখছি, আমার আবার শেষটা বলে দেবার ব্যাপারটা নিতাšত্মই অপছন্দ।
‘জলদস্যু’ প্রথাগত ওয়েস্টার্নের খানিকটা বাইরে, উনিশ শতকের আমেরিকার ফ্রন্টিয়ার টাউনের বদলে এই গল্পে সময়কাল ষোড়শ শতাব্দি। চর্বিত চর্বণ ডুয়েল, দুষ্ট বনাম শিষ্ট বাথানমালিক বাদে একজন মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই, নিজের নাম অমর করে রাখার একটা স্বপ্ন থেকে পরিশ্রম করে যাবার গল্প।
এই গল্পটা আমেরিকার প্রাšত্মরে প্রায় চারশ বছর আগের প্রেড়্গাপটে লেখা বটেÑ কিন্তু গল্পটা আমাদের সবার। আমাদের সবার জীবনেই মূল সংগ্রামটা কিন্তু এমনই।
ওয়েস্টার্ন বলতেই আমাদের কেবল আমেরিকান উদ্দাম গোলাগুলি আর স্বর্ণকেশি কোনো ভদ্রমহিলার সাথে চুম্বনের দৃশ্য মনে হতে পারে। রওশন জামিলের ‘জলদস্যু’ পড়ে আমার সেই ধারণা বদ্ধমূল হলো, ওয়েস্টার্নের প্রতি ভালবাসা আবার বাড়ল।

ফাহাদ আল আবদুলস্নাহ, মিরপুর, ঢাকা।

Author

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular