যে-ছেলের বাপ আর দাদা দু’জনেই নামজাদা ডাক্তার, তার যে ডাক্তারির দিকে টান হবে তা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু আদতে সবার এ-অনুমান ফলল না। তার কেবলই ইচ্ছে করত বাইরে বাইরে ঘুরে প্রকৃতির সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার। হরেক রকম গাছগাছড়ার নমুনা যোগাড় করার। নানান ধরনের পোকামাকড়, জীবজন্তুর চালচলন লড়্গ করার। এমন কৌতূহলী মন যার, তার কি বোর্ডিং-স্কুলের বদ্ধ খাঁচায় ভাল লাগবে?
সেকালে এমনকি বিলেতের স্কুলগুলোতেও বিজ্ঞান শেখাবার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। সেখানে শেখানো হত শুকনো ব্যাকরণ, কাব্যতত্ত্বণ্ঢ এমনি নানারকম কেতাবি বিষয়। এসব একটুও ভাল লাগত না ডারউইনেরণ্ঢ তার মন পড়ে থাকত বাইরে। যে ভাষার সেই ভাষাতেই পড়তে চেষ্টা করা উচিত।
তাই পরীড়্গার ফল হত খারাপ।
এসব কথা ডারউইনের আব্বার কানে পৌঁছত। একদিন তিনি রেগেমেগে ছেলেকে চিঠিতে লিখলেন : শিকার করা, কুকুর পোষা আর ইঁদুর ধরাণ্ঢ এ ছাড়া কোনো দিকেই তোমার মন নেই। তুমি তোমার নিজের আর পরিবারের সবার মুখে কালি দেবে, আমি তা স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি।
কিন্তু বাবার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়েছিল। তিনি ঠিকই পৃথিবী নামক গ্রহের একজন অমোচনীয় নাম হয়ে উঠেছিলেন। নিজের নামের পাশে যুক্ত করেছেন মহাবিজ্ঞানী খেতাব। তার জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে আর মজার মজার ছবি দিয়ে সাজানো এ বই। আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।