গ্রামের বাইরে স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার নামে। সেই অন্ধকারে একটি ছেলে চেষ্টা করছে ঘুড়ি ওড়াতে। কাঠি আর কাপড়ের তৈরি ঘুড়িÑ ছেঁড়া কাপড় জোড়া দিয়ে দিয়ে তার আবার বিরাট লম্বা লেজ। শুধু তা-ই নয়; সেই লেজের আগায় ঝোলানো ছোট্ট একটি আলো।
ছেলেটি ভাবছে, যদি ঘুড়ি আকাশে ওড়ে, তখন আলো দেখে সবাই হয়তো ভাববে, বুঝি একটি নতুন তারাই উঠল আকাশে। কেউ হয়তো ভাববে, এটা রোজ কেয়ামতেরই পূর্বলড়্গণ। ছেলেটি ভাবে আর তার ঠোঁটের কোনায় দুষ্টু হাসি খেলে যায়।
কিন্তু সে ঘুড়ি কি আকাশে ওড়ে? আলোর ভারে লেজ তার পড়েছে ঝুলে। যতবারই সুতো ধরে টানে, ততবারই ঘুড়িটা গোঁত্তা খেয়ে মাটিতে ওড়ে। শেষ পর্যšত্ম তাকে হাল ছেড়ে দিতে হয়।
কথাটা কেমন করে গ্রামের আরও দু-চারজন লোকের কানে গিয়ে ওঠে। যারা শোনে, তারা বলাবলি করে : যেমন ব্যাটা আহাম্মক আমাদের বোকা বানাতে গিয়েছিল, তেমনি তার উচিত ফল হয়েছে। মূর্খটা এসব পাগলামি রেখে মাস্টারের কথামতো ইস্কুলের পড়া করলেও তো হতো!
কিন্তু বড় হয়ে সেই ছেলেটিই এমন সব আবিষ্কার করে বসলÑ যা দেখে দুনিয়ার সব বড় বড় বিজ্ঞানী থ-খেয়ে গেলেন; তাঁকে ভূষিত করলেন ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি দিয়ে। প-িতদের সেরা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল সোসাইটি তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করল।
কে সে বালক? কী তার নাম? সেটা জানতে পড়তে হবে সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে সাজানো দারম্নণ এই বই।
লাস্ট বয় থেকে সেরা বিজ্ঞানী ॥ আবদুলস্নাহ আল-মুতী প্রকাশক : কিন্ডারবুকস প্রচ্ছদ : আজহার ফরহাদ চিত্র : নাফিসা আনজুম, চন্দ্রিকা ইরাবতী মূল্য : ২২০/-