Homeইন্টারভিউলেখার প্রেমে পড়ে ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলেছি | বিশ্বজিৎ চৌধুরী

লেখার প্রেমে পড়ে ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলেছি | বিশ্বজিৎ চৌধুরী

কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর জন্ম ১ আগস্ট ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামে। তিনি বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। পেশায় সাংবাদিক। লেখালেখি শুরু শিশুসাহিত্যের মাধ্যমে। উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল সাহিত্যে তার অবাধ বিচরণ। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি নাটক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : লিন্ডা জনসনের রাজহাঁস (কিশোর গল্পগ্রন্থ), সম্ভ্রমহানির আগে ও পরে (গল্পগ্রন্থ), মাঠের ওপারে যাবে, লীলা? (কাব্যগ্রন্থ), নার্গিস ও বাসন্তী, তোমার পুরুষ কোথায়? (উপন্যাস)। প্রিয় পাঠক, প্রকৃতি সেজেছে আজ ফুলে ফুলে, বসন্ত এসে গেছে। নূতনের আহ্বানে-ভালোবাসার ফল্গুধারার ফাল্গুনের এই রঙিন দিনে সাড়ে ৩ দিনের পত্রিকার মুখোমুখি হয়েছেন এই গুণী লেখক

আপনি নজরুল ইসলামের প্রেমিকাদেরকে নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন। এ ধরনের প্রেমের উপন্যাস, তা যদি বিখ্যাত কারও প্রেম নিয়ে হয়, সে ক্ষেত্রে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়, বিস্তারিত বলবেন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : সত্যিকার অর্থে বইগুলোকে পুরোপুরি প্রেমের উপন্যাস বলা যায় না। আমি নজরুলের জীবনের তিনজন নারীকে নিয়ে লিখেছি। বইগুলোতে আসলে প্রেম ও অপ্রেমÑদুটো বিষয়ই পরিলক্ষিত হয়। ‘নার্গিস’ নামে যে বইটিÑএখানে প্রেম ও বিরহ নিয়ে চিন্তা প্রসারিত হয়েছে। কারণ, নার্গিস নজরুলের জন্য ১৭ বছর অপেক্ষা করেছেন, এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার বিষয়টি বইটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় বইটির নাম ‘ফজিলাতুন্নেসা’। ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন কৃতি ছাত্রী, ক্যারিয়ার সচেতন এবং পরবর্তীতে পড়ালেখার জন্য ইংল্যান্ড যান। এখানে তিনি নজরুলের প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করেন, তাই এই উপন্যাসে প্রেম ও প্রত্যাখ্যান বিষয়টি উঠে এসেছে। তৃতীয় বইটি ‘আশালতা’, যার সাথে নজরুলের বিয়ে হয়। প্রেম যেখানে সফল হয়ে প্রিয়াতে রূপান্তরিত হয়েছে—এখানে রয়েছে একজনের বড় আত্মত্যাগের গল্প। আশালতা নজরুলকে ভালোবেসে একটা জীবন নানা প্রতিকূলতার মাঝে বয়ে নিয়ে যান। সেখানে দারিদ্র্য, অবহেলা, উপেক্ষা আছে; নজরুলের উন্মূল প্রেম, বিশ্বাস এবং দুঃখ যেমন আছে তেমন আছে অবারিত আনন্দের ভাগাভাগি। এসবের মাঝে নজরুলকে অবিচলভাবে ভালোবেসে যাওয়া, এটা আশালতার জন্য ছিল বিরাট আত্মত্যাগ। ফলে বিভিন্ন মাত্রা এখানে যুক্ত হয়েছে। তাই শুধু প্রেমের উপন্যাস বললে ভুল বলা হবে। আর নিজেকে প্রস্তুত করার যে বিষয়; শুরুতে অবশ্যই গবেষণা করতে হবে, তার জীবনের ওপর বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। যেমন, নজরুলকে নিয়ে লিখতে হলে তার জীবন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হয়েছে এবং এর সাথে যেটা যুক্ত হয়েছে তা হলো, বিভিন্ন ছোট ছোট সূত্র ধরে কল্পনাকে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা; কিন্তু সেটা অলিক কল্পনা হলে চলবে না। এখানে সূত্র থাকতে হবে। ছোট সূত্রকে বড় কল্পনায় রূপ দিতে হবে। তাই পূর্ণাঙ্গ একটি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র লিখতে গেলে অনেক কল্পনার এবং নানা রকম ধারণার আশ্রয় নিতে হয়। ফলে এই ধরনের লেখার জন্য ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়।

আপনি অনেকগুলো ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন, বিভিন্ন জনরার ছিল সেগুলো। একজন লেখক তৈরির পেছনে ছোটকাগজের অনেক ভূমিকা থাকে, আপনারও নিশ্চয় রয়েছে?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : সাহিত্য জীবনের সূচনালগ্নে কিছু নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, থাকে কিছু সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি। সেগুলো একটি প্রতিষ্ঠিত কাগজ ছাপতে চায় না, আবার কখনও তার দায় নিতে চায় না। এমনটাই স্বাভাবিক, কারণ আমাদের সবকিছুতেই একটা মান নির্ধারণ করা আছে। সে ক্ষেত্রে একজন তরুণ লেখক যখন নতুন কিছু চিন্তা করে বা ভাবে, তখন সেটা অধিকাংশ সময় সাহিত্য সম্পাদকের কাছে অসঙ্গত বলে মনে হয়। ফলে সেই লেখা তারা প্রকাশ করেন না। তাই একজন তরুণ লেখকের আগমনী বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ‘ছোটকাগজ’। আমি যখন ছড়া লিখতাম, কিশোরদের জন্য কবিতা লিখতাম, সেগুলো কাগজে ছাপিয়েছি। আরো তরুণ বয়সে যখন কলেজে পড়তাম, কবিতা পত্রিকা করেছি; কবিতা, প্রবন্ধ মিলিয়ে ছোটকাগজ করেছিÑযে লেখাগুলো প্রতিষ্ঠিত কাগজে প্রকাশ করতে পারছিলাম না, কিন্তু মানুষের কাছে লেখাগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রণোদনা বোধ করি। তাই সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পেছনে ছোটকাগজের ভূমিকা অনেক। আর সে জন্য বলা যায়, ছোটকাগজ এক ধরনের প্রেম সেই অবস্থান থেকে।

আপনার ছেলেবেলার দিনগুলোকে কীভাবে মনে পড়ে?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : আমার শৈশবকে আমি দুই ভাগে ভাগ করতে চাই। চট্টগ্রাম শহরের একটা জনবহুল পাড়ায় আমার শৈশব শুরু। প্রচুর বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হই-হুল্লোড় করে একেকটা দিন পার করতাম। সেই সাথে শিশুসাহিত্য পড়ার অভ্যাস তৈরি হতে লাগল। পড়ার অভ্যাসটা ধীরে ধীরে নেশায় পরিণত হলো। লেখালেখির বিষয়টা যখন যুক্ত হলো, একটা সময়ে আমি খেয়াল করলাম, এই সাহিত্যপ্রীতির কারণে আমি আনন্দময় শৈশব থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করলাম। সেই আনন্দময় দিন, মাঠে ঘুড়ি উড়ানোর দিনগুলো আমি হারিয়ে ফেলেছি। লেখার প্রেমে পড়ে ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলেছিÑএখন এটা মনে হয়।

অনেকেই প্রেমে পড়ে সাহিত্যচর্চার দিকে ঝোঁকে, প্রেম একজন মানুষকে কতটা সৃষ্টিশীল করে তোলে বলে মনে করেন?
বিশ্বজিৎ চৌধুরী : প্রেম সৃষ্টিশীল করে তোলে কি-না জানি না, সৃষ্টিশীল মানুষ মাত্রই প্রেমে পড়ে, এটা আমি নিশ্চিত। আমার ধারণা, সৃষ্টিশীল মানুষ মাত্রই প্রেমে পড়বে। কারণ লেখকের প্রেমিক-প্রেমিকাকে গড়ে তোলা, তার মনের মতো করে মানস-প্রতিমা তৈরি করাÑএগুলোই সৃষ্টিশীলতার অংশ। এ জন্য আমার মনে হয়, যেকোনো সৃষ্টিশীল মানুষই প্রেমিক হতে বাধ্য।

আপনার লেখা পাঠ করে যখন কেউ আপনার প্রেমে পড়ে, কেমন অনুভূতি হয় তখন আপনার?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : এটা বিশ্বাস করুন, অসাধারণ এক অনুভূতি, বিরল এক অনুভূতি। নিজেকে আমি এমন বড় মানের লেখক মনে করি না যে, আমার লেখা পড়ে কেউ প্রেমে পড়ে যাবেন। এই কথাটি আগেও বিশ্বাস করতাম না। এখন এটা অকপটে স্বীকার করতে বা বলতে দ্বিধা নেই। এই বিষয়টি আমার নিজের জীবনে ঘটেছে, কয়েকবারই ঘটেছে। যেমন, ‘নার্গিস’ উপন্যাস পড়ার পর একজন অনেক কষ্ট করে আমার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করলেন। তারপর আমাদের মেসেজ আদান-প্রদান শুরু হয়, কথা হয়। এভাবে আমাদের যোগাযোগ বাড়তে থাকে এবং একটা প্রেম আর আবেগময় সম্পর্কে উপনীত হয় তা। আরেকজন আমাকে শুধু ই-মেইল করতেন, অনেক অনেক বড় চিঠি আদান-প্রদান হতো। এ ক্ষেত্রে একটা প্রেমের অনুভূতি মনের মধ্যে সঞ্চারিত হয় ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে বোধটা কাজ করে, তা সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের মতো, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে, আমার সুরগুলো পায় চরণ, আমি পাইনে তোমারে।’ এটাই হচ্ছে লেখকের সাথে পাঠকের প্রেমের পরিণতি।

সারাবিশ্বে প্রচুর কবি-সাহিত্যিক আছেন, যাদের প্রেমের গল্প মানুষের মুখে মুখে ওঠে এসেছে—আপনার জীবনে প্রেম কীভাবে এসেছে?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : হ্যাঁ, প্রেম তো অবশ্যই এসেছিল। প্রেম ছাড়া, প্রেমের ঘোর ছাড়া একজন কবি হতে পারে না। এই ঘোরটার নামই প্রেম। প্রেমটার নামই হচ্ছে ঘোর আর তার নাম শেষ পর্যন্ত হয়তো কবিতা। আমরা অনেকের প্রেমের গল্পই জানি—যেমন নজরুলের প্রেম, মায়াকোভস্কি, নাজিম হিকমত, বিনয় মজুমদারের করুণ প্রেমের গল্প। আমার একটা ইচ্ছা, যেন আমার এই গল্পটা কেউ না জানুক, লাইনটা এইভাবে বলতে চাইÑ ‘কোনো কোনো কবি-প্রেমিকার খ্যাতি জনশ্রুতির মতো লোকমুখে ফিরছে।’ তাই অন্তত একটি নাম অলক্ষে রেখে যেতে চাই, অন্তত একটি নাম অশ্রুবিন্দুর মতো অলক্ষে রেখে যেতে চাই।


প্রেমের চিঠি লিখেছেন কখনও, সেদিনের কথা বলুন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : না, যদিও অবিশ্বাস্য মনে হবে, প্রেমের চিঠি কখনো লিখিনি। কবিতা লিখেছি, সেটা চিঠি নামে সজ্জিত আছে তাঁর কাছে, যার উদ্দেশে লিখেছি, তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন।

প্রেম মানুষকে উদার করে তোলে, আপনার এই বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : প্রেম মানুষকে উদার করে কারণ, সে তখন নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অন্যের ভাবনায় মশগুল থাকে। নিজের ভালো-মন্দ উপেক্ষা করে অন্যের আনন্দের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। দু’হাত ভরে ভালোবাসার কথামালা সাজায় ভালোবাসার মানুষটির জন্য, মহান প্রেমের জন্য। নিজেকে আকাশের সাথে তুলনা করে সে আনন্দিত হয়, উদার হয়। এটাই প্রেমের বৈশিষ্ট্য।


আপনার লেখক হওয়ার গল্পটা শোনাবেন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : এটি আসলে দীর্ঘ এক গল্প। আমি আগেই বলেছি, শৈশব-কৈশোর থেকেই আমার লেখালেখির প্রতি ঝোঁক। কিছুটা পরিণত বয়সের সময় আমি কবিতার ঘোরে পড়ি। কবিতা এবং প্রেম একাকার। কবিতার নেশায় মত্ত থাকি। একটা সময় বুঝতে পারলাম, এটাই আমার নিয়তি; আমাকে লেখকই হতে হবে। বড় লেখক কি না, সেটা সময় বা পাঠক বিচার করবে; কিন্তু কীভাবে যেন উপলব্ধি করতে পেরেছি, এটাই আমার মূল কাজ। আমি বাংলা সাহিত্যে পড়ালেখা করেছি, যা আমাকে লেখালিখির কাজে সাহায্য করেছে। পেশাজীবনে সাংবাদিক হওয়ার কারণে লেখালিখির সাথে সবসময় সম্পৃক্ততা ছিল। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ একটা মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘যারা লেখক হবেন তাদের কিছুকালের জন্য সাংবাদিক হওয়া ভালো। তা বেশিদিন হলে লেখক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’ আমার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘটেছে। প্রায় ৩৭ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। ফলে মনে হয়, আমার সংবাদপত্রের লেখা বা কলাম লেখার যে ভাষা, তা অনেকসময় আমার মৌলিক সৃষ্টিশীল ভাষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই সংগ্রাম, এই টানাপড়েন, এই অতৃপ্তিÑএসব নিয়েই আমার লেখক জীবন। প্রতিদিন এই সংগ্রাম করেই চলেছি।


ফাল্গুন এলে প্রকৃতি সাজে, বসন্ত মানেই নূতনের গান—আপনার জীবনের এই সময়ে এসে এখন কীভাবে দেখেন বিষয়টিকে?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : প্রকৃতির এই পরিবর্তন দেখার জন্য আমি তো উদগ্রীব থাকি। যে কোনো সচেতন মানুষ এই পরিবর্তনটা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারেÑ বাঁধন খুলে দাও, দাও দাও দাও।’ আমার সেই উদ্যম-আহ্বানটা মনে পড়ে এই বসন্ত বাতাসে। কোথাও যেন একটা ভালোবাসা আছে, হাহাকার আছে, না পাওয়ার আর্তি আছে, পাওয়ার আকুলতা আছে। সবকিছু মিলিয়ে বসন্ত-ফাল্গুন আমাকে খুব স্পর্শ করে।


ভালোবাসা দিবস সারা পৃথিবীতে পালিত হয়, বাংলাদেশেও এই দিনটিকে তরুণ-তরুণীরা উৎসাহে উদ্যাপন করে—আবার রবীন্দ্রনাথও বসন্ত উদ্যাপন করতেন শান্তি নিকেতনে, আপনার লেখক দৃষ্টিতে সময়টিকে কীভাবে দেখেন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : ‘ভালোবাসা দিবস’ একটা নির্দিষ্ট দিনে পালিত হওয়া উচিত কি, উচিত নাÑএ ধরনের বিতর্কে জড়াতে চাই না। শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালন, এটা আমাদের মনকে রঙিন করে তোলে, উদ্দীপ্ত করে। আমি খুব উপভোগ করি। বৃদ্ধ হয়েছি, এখনও। তারপর যখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই দিনটি নিয়ে চাঞ্চল্য দেখি তা নিজেকেও নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে। ভালোবাসার অনুভূতি পাই, যার কোনো মৃত্যু নেই।


পারস্যের কবি রুমির কথা ভাবতে পারি, খোদাবন্দনায় মশগুল ছিলেনÑতার এই প্রেম এবং ভাবনার জগতকে সকলে ভালোবাসেন, আপনি কীভাবে ভাবেন বিষয়টি নিয়ে…


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : রুমি খোদার প্রেমে মশগুল ছিলেন। ভালোবাসার নানা রূপ আছে, নানাভাবে প্রকাশ করা যায়। ভালোবাসা মানেই শুদ্ধ কিছু, সুন্দর কিছু। নিজেকে যতখানি ভালোবাসি অন্যকে তারচেয়ে বেশি ভালোবাসা দিতে চাইÑএই বোধটাই মানুষকে অন্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা করে। অন্যের প্রতি এই আবেগ, এই ভালোবাসাÑকখনও খোদা, কখনও মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর জন্য হতে পারে। এই আবেগের জন্য একটা মানুষ থেকে আরেকটা মানুষ শ্রেয় হয়ে ওঠে, আর প্রেমিক এই কারণেই সব মানুষের ভিড়ে সামনের দিকে এগিয়ে থাকে। এগিয়ে যায় তার ভালোবাসার গুণে, ভালোবাসার শক্তিতে।

তরুণেরা, যারা এই সময়ে লিখতে আসছেন, তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?


বিশ্বজিৎ চৌধুরী : তরুণ লেখকরা নিজ গতিতেই চলেন। তারা সাধারণত এসব কথা গ্রহণ করেন না। শুধু একটা কথা বলব, কিছুটা প্রস্তুতি দরকার লেখক হওয়ার জন্য। অনেক বেশি পড়াশুনা করা দরকার। যদিও কথাটা মাস্টার মশাইদের মতো শোনায়, তবুও বলবÑবেশি করে পড়তে। তাহলে নিজের ভেতরে যে সৃজনক্ষমতা আছে, তা নানাভাবে প্রকাশিত হবে এবং প্রকাশ করার মতো নানা উপকরণ নিজের ভেতরে জমা থাকবে।

Author

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular