আমরা পুরোপুরি প্রফেশনাল হতে পারিনি
—ওসমান গণি
ওসমান গণি। প্রকাশক এবং একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক কমিটির সদস্য। বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলার আনুষ্ঠানিক শুরম্নর সময় থেকে প্রতিবছর আগামী প্রকাশনী মেলায় অংশ নিয়ে আসছে। গতবছর সর্বাধিক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমি এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ওসমান গণির সাড়্গাৎকার নিয়েছেন নুসরাত নুসিন
এবার পাইরেসি বন্ধ করতেই হবে। পাইরেসি বন্ধ করতে পারলে ভালো বইয়ের বিক্রি বেড়ে যাবে। শিশু কর্নারে গেলে দেখতে পাবেন প্রায় বই নেট থেকে নেওয়া। এগুলোর কোনো কপিরাইট নাই। একই বই সব জায়গায় পাবেন। তবে ব্যতিক্রম কিন্ডারবুকস, ময়–রপঙ্খির মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ শিশুতোষ প্রকাশক পাইরেসির আশ্রয় নেয়।

বলা যায়, বইমেলার শুরম্ন থেকেই আপনি আয়োজক কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন। একজন প্রকাশক হিসেবে বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে পারাটা কতটা আনন্দের?
ওসমান গণি : অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং দেশের অন্যান্য গ্রন্থমেলার পার্থক্য অনেক। অমর একুশের মেলাকে সবাই বলে ‘প্রাণের মেলা’। আমার মতে, এই মেলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের যে অগ্রগতি সেই গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এই মেলার জন্য আমরা সবসময় অপেড়্গায় থাকি। ভাবি, এবার গেল, আবার কখন হবে? কাজেই একুশে গ্রন্থমেলা সব সময়ই আনন্দের। আরো আনন্দের যে, আনুষ্ঠানিক শুরম্নর সময় থেকে বইমেলার সঙ্গে আছি। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সঙ্গেও কম-বেশি থাকার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। খুব ভালো লাগে মেলার সঙ্গে থাকতে পেরে।
বাংলাদেশের প্রকাশনা নিয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে; বিশেষ করে পেশাদারত্ব নিয়ে। দেশের প্রকাশনা জগতে প্রফেশনালিজম কতটা গড়ে উঠেছে?
ওসমান গণি : এ কথা ঠিক বলেছেন। আমাদের স্বাধীনতার ৫২ বছর হয়ে গেল। হাঁটি-হাঁটি পা-পা করেই আমাদের প্রকাশনাশিল্প এগিয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার ড়্গেত্রে একুশে বইমেলার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যদি বলি, আমরা কতটুকু প্রফেশনাল হয়েছি? আমি বলব, আমরা এখনো পুরোপুরি প্রফেশনাল হতে পারি নাই। আমাদের সবার সেই সড়্গমতা তৈরি হয় নাই। কিছুসংখ্যক প্রকাশকের সড়্গমতা আছে, তারা প্রফেশনাল।
আরেকটি কথা বলতেই হয়, প্রকাশনা কিন্তু শিল্প নয়। প্রকাশনা সরকারস্বীকৃত শিল্প নয়। শিল্পের যে সুযোগ-সুবিধা অন্য শিল্পের লোকেরা পায়, প্রকাশকরা তা পায় না।

প্রকাশকদের মধ্যে কমিটমেন্ট কতটুকু লড়্গ করা যায়?
ওসমান গণি : কমিটমেন্ট তো অবশ্যই আছে। কমিটমেন্ট যদি না থাকত তাহলে আমরা এ পেশায় আসতাম না। প্রকাশনা তো চাল-ডালের ব্যবসা না। প্রকাশনা হলো সেই কাজ, যেটা মানবিক মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। কাজেই এটা ভেরি মাচ কমিটেড। সবাই কমিটমেন্ট নিয়ে আগায় কিন্তু কমিটমেন্ট আর প্রফেশনালিজম তো এক নয়।
বাংলাদেশের বইয়ের বাজার খুব ভালো নয়। এ সম্পর্কে আপনার মতামত শুনতে চাই।
ওসমান গণি : বাংলাদেশে বইয়ের বাজার এরকমই ছিল। এর থেকে কোন দিন ভালো ছিল? ১৯৭৮ সাল থেকে এ পেশায় আছি। অসম্ভব ধৈর্য যদি না থাকে তাহলে সে এই সৃজনশীল প্রকাশনা করতে পারবে না। এখানে রাতারাতি অনেক টাকাপয়সা পাওয়ার সুযোগ নাই।
বাজার তৈরির মতো সাড়া জাগানো কমিটেড লেখকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ওসমান গণি : অনেক কম। কয়েকজনের কথা যদি বলি, যেমন— হুমায়–ন আহমেদ, জাফর ইকবাল এদের বইয়ের বিক্রি ছিল অনেক ভালো। সেই হিসেবে আমাদের এখন কমিটেড লেখক কোথায়? এখন আমরা যদি বলি, সলিমুলস্নাহ খান ভীষণ সাহসী ও সম্ভাবনাময় একজন লেখক কিন্তু এরকম আরো দশটা নাম তো আমি বলতে পারছি না!
ভারতীয় বই বা বিদেশি ভাষার বই কি দেশীয় বই বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলছে না?
ওসমান গণি : যারা বই পড়ে, তারা সব পড়বে জ্ঞানার্জনের জন্য। ভালো বিদেশি লেখা না পড়লে পাঠক ঋদ্ধ হবে কীভাবে? ভালো লিখতে হলে লেখককে পড়তে হয়। জ্ঞানার্জনের জন্য তো চীন দেশে যেতে বলে ইসলাম ধর্ম। বিদেশি বইয়ের কারণে দেশীয় বাজার ড়্গতিগ্রসত্ম হচ্ছে— এটা ঠিক না। প্রকাশনা ড়্গতিগ্রসত্ম হচ্ছে পাইরেসির কারণে। নেট বইয়ের কারণে। পাইরেসির কারণে আমাদের প্রকাশনা জগত আজ হুমকির সম্মুখীন।
প্রকাশনায় দড়্গ জনবলের অভাব রয়েছে— এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?
ওসমান গণি : হ্যাঁ। এখানে দড়্গ জনবলের অভাব রয়েছে। ভালো সম্পাদকের অভাব রয়েছে। ভালো প্রম্নফ রিডারের অভাব রয়েছে। বুক মার্কেটিংয়ের অভাব রয়েছে। বুক মার্কেটিং এবং অন্যান্য মার্কেটিং এক না। একটা বইয়ের মার্কেট করতে হলে বইটা সম্পর্কে ভালো জানতে হবে। সেই প্রসেসটা যারা মার্কেটিং করে তারা এই পরিশ্রম করে না। ফলে আমরা যথেষ্ট মার্কেটিং করতে পেরেছি এই কথাটা জোর দিয়ে বলা যাবে না। এখানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারত। প্রম্নফ রিডিং, সম্পাদনা এগুলো কিন্তু জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের কাজ। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটিও আমলানির্ভর হয়ে গেছে। মন্¿ণালয়নির্ভর হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ডানা মেলে অগ্রসর হতে পারে নাই।
আমাদের বইয়ের মান কি বৈশ্বিক মানের সঙ্গে তুলনীয়?
ওসমান গণি : অবশ্যই। আমাদের বেশ কিছু প্রকাশক রয়েছেন যাদের বই, যেমন আমাদের বইয়ের প্রোডাকশন, উপস্থাপনা, মুদ্রণ মান— এভরিথিং আন্ত্মর্জাতিক মানের। আমার মেয়ে মিতিয়া ওসমান, সে শিশুদের বই প্রকাশ করে। সে দেশের একমাত্র প্রকাশক, যে অক্সফোর্ড থেকে পাবলিকেশনে কোর্স করে এসেছে। সে আমার চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। সে পৃথিবীর এত বইমেলায় যোগ দিয়েছে এবং সেখানে গেস্ট হিসেবে গেছে; ফলে বই প্রকাশে ওর ভাবনাও আন্ত্মর্জাতিক মানের। প্রথমা, অন্যপ্রকাশের বইও আন্ত্মর্জাতিক মানের।
বই প্রকাশের পর প্রচার-প্রসারে কীভাবে কাজ করেন?
আমরাও অনলাইনে বই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। অডিও বুক করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা মোটামুটি যতটুকু প্রচার করা দরকার, তা করছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের হার আপনি খেয়াল করেছেন কত বেশি! আমি মতি ভাইকে (প্রথম আলো সম্পাদক) বলেছিলাম, আপনি যেভাবে একটি বইয়ের জন্য খরচ করেন, হিসাব করলে ওই বই থেকে কী লাভ পেয়েছেন তা খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞাপনের হার এত বেশি বলে আমরা কিন্তু বিজ্ঞাপনও করতে পারি না।
আপনাদের ক্রেতাভাগ্য কেমন?
ওসমান গণি : আমরা সিরিয়াস ধারার বই প্রকাশ করি। জনপ্রিয় ধারাতে কোনোদিনই ছিলাম না। আমরা কোনোদিন হুমায়–ন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন প্রকাশ করিনি। আমাদের প্রধান লেখক হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, সলিমুলস্নাহ খান। আসলে সময় কাটানোর জন্য একটা প্রেমের উপন্যাস পড়লেন, আর কীভাবে সময় কেটে গেল টেরই পেলেন না— এটা হলো এক ধরনের বই। আরেকটা হলো বই পড়ে আপনাকে ভাবতে হবে। হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ পড়ে আপনাকে অনেক ভাবতে হবে। আবার প্রথম থেকে পড়তে হবে কয়েকবার। কী অসাধারণ বই হতে পারে! হুমায়ুন আজাদের ‘নারী’ বইটি বিএনপি সরকার নিষিদ্ধ করেছিল। সাড়ে তিন বছর আমি এটার মামলা লড়ে তারপর রায় পেয়েছি যে, এটা খুবই সৃষ্টিশীল বই। কাজেই এসব সৃষ্টিশীলতা প্রকাশনায় থাকতে হবে। আপনাকে এমন কিছু করতে হবে, আপনি যে কিছু করছেন মানুষ যেন এটা বুঝে। যেমন মৌলবাদের বিরম্নদ্ধে একটা সাহসী উচ্চারণ হলো— পাক সার জমিন সাদ বাদ। এর চেয়ে সাহসী উচ্চারণ আর নেই। এজন্যই ওনাকে হত্যা করা হয়েছে। ক্রেতাভাগ্যের বিষয়ে যদি বলি, আমাদের প্রত্যাশা কম। হুমায়–ন আহমেদের মতো হাজার হাজার বই বিক্রি হবে এই প্রত্যাশা আমি করি না। আমাদের বই একটু সেস্না হবে। কিন্তু আমাদের বইগুলি টিকবে। থাকবে।
লেখক তৈরিতে ‘আগামী’র ভূমিকা জানতে চাই।
ওসমান গণি : এখনও প্রতিবছর দু’চারজনের বই প্রকাশ হয়, যেসব লেখকের প্রথম বই। আমার প্রথম বইয়ের লেখকরাও অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে। যেমন আমি যদি দু-একজনের নাম বলি, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। আরো যে কত নাম বলে শেষ করতে পারব না। অনেক বিখ্যাত লোকই বলেন আগামী থেকে তাঁদের প্রথম বইটা বের হয়েছে। প্রতিবছর একুশের পুরস্কার পান যাঁরা, দেখা যায় অর্ধেকের বেশি থাকে আমার লেখক। আর সর্বাধিক মানসম্পন্ন বই প্রকাশের জন্য গতবারও আগামী প্রকাশনী পুরস্কার পেয়েছে। আগেও আমরা এ পুরস্কার পেয়েছি। মানসম্পন্ন বই করতে পারি বলেই লেখক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পেরেছি।
তবে এখানে একটি সমস্যা আছে। তা হলো, একজন লেখককে নিয়ে অনেক দৌড়ঝাপ করলেন, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই লেখক আর সেই প্রকাশকের কাছে থাকেন না। সবাই হুমায়ুন আজাদের মতো না। সবাই নত হয়ে যায় টাকার কাছে, যখন সেই লেখকের চাহিদা বেড়ে যায়। তখন তারা ওই দিকে চলে যায়।
লেখার জন্য লেখকের কেমন প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে মনে করেন?
ওসমান গণি : লেখার মান থাকতে হবে। কতটুকু পড়েছে? শুধু লিখলে হবে না, তার আগে তো পড়তে হবে! লেখার জন্য আগে পাঠক হতে হবে। আমাদের বেশিরভাগ তরম্নণ অনেক বই লিখে ফেলেছে। তারা ২০টা কবিতা লিখলে খোঁজ নিতে আসে কবে বই হবে— এটা নেগেটিভ। তাদেরকে আরো অনেক বেশি পড়তে হবে। নিজেকে তৈরি করতে হবে। পত্রপত্রিকায় লিখতে হবে। কেউ কেউ বলে পত্রিকায় তো তার লেখা ছাপা হয় না। তাহলে সে ওই মানে যেতে পারে নাই। এ কারণে ছাপায় না। লিখতেই থাকতে হবে, তাহলে একসময় ছাপা হবেই। ওই চর্চা না করে যারা চলে আসে তাদেরকেও আমি সহযোগিতার চেষ্টা করি। কিন্তু তার লেখায় ধার থাকতে হবে। যে লেখায় শক্তি আছে, আগামী প্রকাশনী সেই লেখা প্রকাশ করে। ঘুমপাড়ানি গান গাওয়ার জন্য আমি বই প্রকাশ করি না। আমার বইয়ে মেসেজ থাকতে হবে। শক্তি থাকতে হবে।
বইমেলার সময় অলঙ্করণ বা প্রচ্ছদশিল্পীর সংকটে পড়েছেন?
ওসমান গণি : এই সংকট আমাদের কখনওই ছিল না। আমরা ভেরি মাচ প্রফেশনাল। সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ করি। অনেকে অভিযোগ করেন ঠিকমত টাকা পান না। আমাদের প্রতি এই অভিযোগ নেই। ফলে কভার পেতে আমাদের সমস্যা হয় না।
প্রকাশক হিসেবে আয়োজকদের আপনি কিছু বলতে চান?
ওসমান গণি : আয়োজকদের মধ্যে আমিও একজন। পরিচালনা কমিটির সদস্য। প্রকাশক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা— মেলাটা সুশৃঙ্খল মেলা হোক। মেলা অবশ্যই পাইরেসিমুক্ত হোক। আগে যেসব সমস্যা ছিল, স্পন্সর বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি দায়িত্ব নিত। এবার স্পন্সরের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে সরাসরি বাংলা একাডেমি। ফলে গতবারের মধ্যস্বত্বভোগী এবার নাই। আশা করছি, বাংলা একাডেমি সুন্দরভাবে মেলার আয়োজন করবে।
তবে প্রকাশকদের ভাবতে হবে, অনেকের কাছে এটা শুধু ব্যবসা। যারা পাইরেসি বই নিয়ে মেলায় যায়, তাদের এটা ব্যবসার ধান্দা। গতবার পাইরেসির অভিযোগে দুটি প্রতিষ্ঠান অভিযুক্ত ছিল। আমরা তাদের এবার স্টল দেইনি। যারা বাইরের বই বিক্রি করেছে, এবার তাদের মুচলেকা দিয়ে বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এবার পাইরেসি বন্ধ করতেই হবে। পাইরেসি বন্ধ করতে পারলে ভালো বইয়ের বিক্রি বেড়ে যাবে। শিশু কর্নারে গেলে দেখতে পাবেন প্রায় বই নেট থেকে নেওয়া। এগুলোর কোনো কপিরাইট নাই। একই বই সব জায়গায় পাবেন। তবে ব্যতিক্রম কিন্ডারবুকস, ময়–রপঙ্খির মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ শিশুতোষ প্রকাশক পাইরেসির আশ্রয় নেয়।
আয়োজক কমিটির একজন সদস্য হিসেবে আপনার কাছে জানতে চাই— এবছর মেলায় কোনো নতুনত্ব আছে?
ওসমান গণি : ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট খোলা থাকবে। গতবার সপ্তাহে দুদিন খোলা ছিল। দ্বিতীয় যে নতুনত্ব হলো, মেট্রোরেল রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত্ম চলবে। মিরপুর ও উত্তরার ক্রেতা যারা আসতে পারত না, এবছর এই ক্রেতাদের অতিরিক্ত পাব বলে আশা করছি। আমরা একটা দাবি জানিয়েছি, ফেব্রম্নয়ারি মাসে শুক্রবার মেট্রোরেল যেন চালু থাকে।