আজ মঙ্গলবার বশ্বি বই দবিস ২০২৪। ১৯৯৫ সালরে ২৩ এপ্রলি থকেে ইউনস্কেোর উদ্যোগে দবিসটি পালন করা হয়। বই দবিসরে মূল উদ্দশ্যে হলো- বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়রে কপরিাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বষিয়ে জনসচতেনতা বাড়ানো। বশ্বি বই দবিসরে মূল ধারণাটি আসে স্পনেরে লখেক ভসিন্তে ক্লাভলে আন্দ্রসেরে কাছ থকে।ে ১৬১৬ সালরে ২৩ এপ্রলি মারা যান স্পনেরে আরকে বখ্যিাত লখেক মগিলে দে থর্ভোন্তসে। আন্দ্রসে ছলিনে তার ভাবশষ্যি। নজিরে প্রয়ি লখেককে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯২৩ সালরে ২৩ এপ্রলি থকেে আন্দ্রসে স্পনেে পালন করা শুরু করনে বশ্বি বই দবিস।
এরপর ১৯৯৫ সালে ইউনস্কেো দনিটকিে বশ্বি বই দবিস হসিবেে স্বীকৃতি দয়ে এবং পালন করতে শুরু কর।ে সইে থকেইে বশ্বিরে বভিন্নি দশেে প্রতবিছর ২৩ এপ্রলি বশ্বি বই দবিস হসিবেে পালতি হয়ে আসছ।ে
আজকাল আমরা বইপড়া প্রায় ভুলে যতেে বসছে।ি বই পড়ার দকিে আমাদরে যতটা না মনোযোগ, তার চয়েে অনকে বেশি আগ্রহ ফেসবুকরে প্রতি , ইউটউিব, ইন্টারনটে আর মোবাইলরে নশোয় আমরা প্রকৃত বই পড়ার আনন্দটাই ভুলে যতেে বসছে।ি
বই হতে পারে উপহাররে একটি উপকরণ। সটোও যনে বলিীন হতে বসছে প্রয়িজনকে বশেি বশেি বই উপহার দলি,ে নজিে বই কনিলে এবং নয়িমতি বই পড়ল,ে বইকে নত্যিসঙ্গী করতে পারলে যমেন নজিরে জ্ঞানরে পরধিি বাড়,ে তমেনি সুস্থ, সুন্দর জীবনযাপন করা যায়। বই হলো প্রকৃত বন্ধু, বই হলো বপিদরে বন্ধু- যাকে সব সময় কাছে পাওয়া যায়।
আজ সমাজে যত অপর্কম, অন্যায়-অবচিার, ব্যভচিার, অনতৈকি র্কমকাণ্ড- সব কছিুর মূল হলো জ্ঞানহীন, মূল্যবোধহীন সমাজব্যবস্থা। এর প্রধান কারণ হলো বই থকে,ে জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি থকেে বচ্ছিন্নি জীবনযাপন। দশে-িবদিশেি অসংখ্য টলেভিশিন চ্যানলে বনিোদনরে নামে আমাদরে অনকে র্কমঘণ্টা কড়েে নচ্ছি।ে অথচ বনিোদনরে এ আনন্দটুকু আমরা নর্ভিজোলভাবে অনায়াসইে নতিে পারি বই পড়ার মাধ্যম।ে
মানব জীবনে সবচয়েে বড় সম্পদ হলো বই। বই হতে পারে আমাদরে সবচয়েে প্রয়ি বন্ধু। ‘বন্ধু’ শব্দটি কতই মধুর! বন্ধুত্ব নকৈট্যরে পরচিয়বাহী, সৌর্হাদ্য ও সম্প্রীত,ি ভালোবাসা ও হূদ্যতা এবং পারস্পরকি সুসর্ম্পক ও মানসকি বন্ধনরে প্রতীক। বন্ধুত্বরে ফাটল বদেনাদায়ক হলওে অস্বাভাবকি নয়; যখন তখন লক্ষণীয়। অনকেে আজ বন্ধু কাল শত্রু। বন্ধু হয়ে বঈেমানি আর বশ্বিাসঘাতকতা কারও কাম্য নয়। কন্তিু অপ্রত্যাশতি হলওে অহরহ ঘটছ।ে
শুধু বন্ধু কনে পারস্পরকি র্স্বাথরে দ্বন্দ্বে বাবা-মা, ভাইবোন, নকিট আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতবিশেীদরে মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে দূরত্ব। ছড়য়িে পড়ছে হংিসা হানাহান।ি পপিীলকিা যমেন বপিদে পানতিে পততি গাছরে পাতাকে বাঁচার অবলম্বন করে নয়ে, তমেনি মানুষও বপিদ হতে বাঁচতে চায়, একটু আশ্রয় খোঁজ।ে প্রয়োজন হয় ভালো বন্ধুর। রক্ত মাংসে গড়া মানুষকে যখোনে বন্ধু হসিবেে ভবেওে সন্দহে হয়, বশ্বিাস-অবশ্বিাসরে দোলাচল কাজ কর,ে সখোনে মানুষরে প্রকৃত বন্ধু হতে পারে বই।
তাই বই বশ্বিাসরে অঙ্গ, জীবন যুদ্ধরে হাতয়িার। বই আমাদরেকে অন্ধকার থকেে বরে করে এনে আলোর দকিে নয়িে আস।ে বই অন্ধকার দূর করে সভ্যতার অগ্রগতি ঘটায়। তাই বই যমেন সভ্যতার রক্ষাকবচ তমেন সভ্যতার চাবকিাঠ।ি সভ্যতার আদি লগ্ন থকেে বই অতীত ও র্বতমানরে বহুমুখী জ্ঞান সম্পদকে বহন করে চলছে।ে
বই পড়া সকল দশেরে মানুষরে কাছে একটি শখরে বষিয়। বভিন্নি রুচরি মানুষ তাদরে রুচমিাফকি বইয়রে পাতায় চোখ রখেে শখ চরতর্িাথ কর।ে মানুষরে পুরো মনটার সাক্ষাৎ পাওয়া যায় সাহত্যি।ে তাই আমাদরে বই পড়তইে হব।ে কারণ বই পড়া ছাড়া সাহত্যি পাঠ নইে। এ র্চচার জন্য একক গ্রন্থ সম্ভব নয় চাই লাইব্ররে।ি
র্ধম-র্দশন নীত,ি বজ্ঞিানরে র্চচা যথাক্রমে মন্দরি, গুহা, ঘর এবং গবষেণাগারে করা গলেওে বদ্যিা সংগ্রহ ও র্চচার জন্য পাঠাগারই একমাত্র স্থান। বই আমাদরে আনন্দ এবং মানসকি সুস্থতা: দহেরে খাদ্য ভাত, রুটি মনরে খাদ্যরে জোগান দয়ে বই। মনরে সুস্থতার ওপর অনকোংশে দহেরে সুস্থতা নর্ভির কর।ে মনকে সুস্থ রাখতে হলে ভালো বই পড়া দরকার। ভালো বই পড়াশোনার মধ্য দয়িে মানুষরে মনে আত্মর্মযাদাবোধ সর্ম্পকে চতেনা জাগ।ে
তাছাড়া আমরা দখেি যে মানুষরা বইকে বন্ধু হসিবেে গ্রহণ করছেে তাদরে অনকে শত্রু কম। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদরে মন ভালো থাকে আমাদরে মন প্রসন্নতায় ভরে যায়। তাই বই জ্ঞানরে প্রতীক, বই আনন্দরে প্রতীক। বই সংস্কার থকেে মুক্ত:ি মানুষ জীবনে তনিটি জনিসি কামনা করে পুরুষ, স্ত্রী এবং বই।
অবশ্য এই সহচর নর্বিাচনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচতি নয়। বইয়রে ক্ষত্রেে যার বই পড়তে ভালো লাগে তাকে সইে বই পড়তে দয়ো উচতি। তাহলে তার কাছ থকেে নতুন চন্তিার ফসল পাওয়া সম্ভব হব।ে
জীবনকে বুঝতে হলে অভ্যাসরে সংস্কাররে বড়ো ভাঙতে হলে বইয়রে সঙ্গ আমাদরে অবশ্যই প্রয়োজন। বই সাজানো ও তার যত্নরে ওপর ঘররে সৌর্ন্দয নর্ভির কর।ে এবার শুরু করা যাক বই সাজানো দয়ি।ে বুক শলেফে এমনভাবে বই সাজাবনে যাতে যে কোনো বই খুব সহজইে আপনি খুঁজে পতেে পারনে। যসেব বই আপনার নর্ধিারতি তাকে রাখতে চান সগেুলোর তালকিা করুন।
বইয়রে লখেক, বষিয়বস্তু, অক্ষরভত্তিকি এমনকি প্রকাশরে বছরভত্তিকি ভন্নিতাকে র্পযায়ক্রম করে ক্যাটাগরতিে বভিক্ত করতে পারনে। এ ছাড়া আপনি কথাসাহত্যি এবং কাব্য সাহত্যি বষিয়কে সামনে রখেে বভিক্ত করতে পারনে। এক্ষত্রেে অবশ্যই আপনাকে সর্তক থাকতে হবে য,ে গল্পরে অবস্থান এবং জনপ্রয়িতা অনুসারে ভালো মানরে বইকে একদম ওপরে অথবা নচিরে দকিে রাখতে হব।ে
এখন আপনি যসেব বই ক্যাটাগরি অনুসারে বভিক্ত করছেনে যসেব বুকশলেফে সাজানো শুরু করুন। বইগুলোকে সোজা করে সাজাতে পারনে- যদি এর উচ্চতা খুব বশেি না হয়। সবসময় বাঁধাই করা পাশ বাইররে দকিে রাখুন যাতে বইয়রে নাম, শরিোনাম এবং লখেকরে নাম দখো যায়।
এভাবে বইয়রে তাক গুছয়িে রাখলে বাড়তিে আসা অতথিি আপনার রুচরি প্রশংসা করব।ে আর অন্যরাও আগ্রহী হবে ছোট আকারে বইয়রে সংগ্রহ গড়ে তুলত।ে প্রয়ি বইগুলো যত্নে থাক, তবে বই কন্তিু শুধু সাজয়িে রাখার জন্যই নয়, এগুলো পড়ার জন্যই লখো হয়, সংগ্রহ করা হয়। নজিে পড়ুন ও প্রয়িজনকে বই উপহার দনি।
আমাদরে সবার নয়িমতি বই পড়া উচতি। প্রতটিি পরবিারে একটি করে লাইব্ররেি থাকা উচতি। সখোনে থাকতে হবে বভিন্নি ধরনরে বই। এর ফলে পরবিাররে সদস্যরা সহজইে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠব।ে সবার হূদয়ে জ্ঞানরে আলো প্রবাহতি হব।ে বই পড়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সব বষিয়ে কম বশেি জ্ঞান র্অজন করতে পার।ে আর বই যে জীবনরে কত প্রশ্নরে উত্তর জোগায়, তা বলে শষে করার উপায় নইে। বই হচ্ছে মানুষরে চন্তিার লখিতি ভার্স্কয।
তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য যমেন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টকির খাবার খাওয়া প্রয়োজন, ঠকি তমেনভিাবইে ব্রনে তথা মস্তষ্কিকে সুস্থ, র্কাযক্ষম ও সচল রাখার জন্য খাদ্য দয়ো প্রয়োজন। সাম্প্রতকি সময়রে গবষেণা জানাচ্ছ,ে বই পড়ার অভ্যাসটইি হলো মস্তষ্কিরে খাদ্য! বলা যতেে পার,ে ব্রনেকে সুস্থ ও সচল রাখার জন্য নয়িমতি ফশি অয়লে কংিবা হলুদ খলেে অথবা নতুন ল্যাঙ্গুয়জে ক্লাস, পালজ বুক কংিবা অঙ্ক সমাধানরে চষ্টো করলইে তো হয়, যা একই সঙ্গে স্মৃতশিক্তি ও মস্তষ্কিরে জ্ঞানীয় র্কাযকারতিা বৃদ্ধি করব।ে তবে এগুলোর মধ্যে মস্তষ্কিরে জন্য সবচয়েে উপকারী ও র্কাযকর হলো বই পড়ার অভ্যাস। বই পড়া ব্রনেরে জন্য উপকারী। গবষেণা থকেে দখো গছে,ে বই পড়ার অভ্যাসরে ফলে মস্তষ্কিরে ওপর ইতবিাচক প্রভাব দখো দয়ে। মানসকিভাবে সব সময় উদ্দীপ্ত থাকার ফলে ডমিনেশয়িা ও আলঝইেমারকে প্রতরিোধ করা সম্ভব হয়। কারণ মস্তষ্কি সব সময় অ্যাকটভি থাকার ফলে তার র্কমক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনা একবোরইে কমে যায়।
এ ছাড়া বই পড়া মানসকি চাপ কমায়, স্মৃতশিক্তি প্রখর কর,ে বৃদ্ধি পায় কল্পনাশক্ত,ি যৌক্তকি চন্তিায় দক্ষ হওয়া যায়, মনোযোগ বৃদ্ধি কর,ে রাতে দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য কর,ে অনুপ্রাণতি হওয়া যায়, আপনাকে করবে সহর্মমতিার্পূণ, বৃদ্ধি পায় সৃজনশীলতা।
বই পড়ার হাজারও কারণরে মধ্যে সবচয়েে বড় কারণটি হলো, একমাত্র বই-ই হতে পারে আপনার জীবনরে সবচয়েে ভালো বন্ধু। তাকে কাছে টানলইে সে সাড়া দয়ে; আপনি না ছাড়ল,ে সে ছড়েে যাবে না কখনোই। কাজইে বই দবিস সাড়ম্বরে পালন করা হোক আর না হোক, বইয়রে আবদেন কখনো ফুরাবে বলে মনে হয় না। যত দনি পৃথবিী থাকব,ে তত দনি মানুষরে নঃিসঙ্গ প্রহরে বই জ্বলেে দবেে মঙ্গল প্রদীপ। কোনো শ্রান্ত দুপুর,ে কংিবা বষিণ্ন বকিলেে বই হয়ে উঠবে প্রয়ি সঙ্গী। ঘুম ঘুম শীতরে রাতে অচনি কুয়াশার মতো জড়য়িে ধরবে বই। একটি বই অনকে কছিু মনে করয়িে দবেে আমাদরে। বই দবিস অমর হোক।
লখেক: কলাম লখেক ও গবষেক