কথাসাহিত্যিক নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালের ৫ মার্চ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। আশির দশকের শুরু থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি উড়ুক্কু উপন্যাসের জন্য ১৯৯৪ সালে ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। সাড়ে ৩ দিনের পত্রিকার পক্ষ থেকে লেখক নাসরীন জাহানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এহসান হায়দার
ফাগুন মানে নতুন দিন, বসন্তে চারদিকে তারুণ্যের আহ্বান! একজন লেখক হিসেবে কীভাবে দেখেন সময়টাকে?
নাসরীন জাহান : আমি খুব সূক্ষ্ম অনুভূতির মানুষ। সব ঋতুর ঘ্রাণই টের পাই। ছেলেমেয়েরা হাতে, মাথায় গুচ্ছ ফুল নিয়ে, বইমেলার দিকে হেঁটে যায়। অসাধারণ লাগে দেখতে। শহরে ও মফস্বলে দেখেছি ছোট ছোট শিশুরা ফাল্গুন উদ্যাপন করছে। ছোটবেলায় ফাল্গুনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে যেতাম উৎসব পালন করতে। নানা রঙের ফুলে সুশোভিত চারপাশ মনকে আন্দোলিত করে। কবি, লেখকদের মনে আরও দোলা দিয়ে যায় ফাল্গুন।
আপনার লেখার শুরু ১৯৭৭ সালে ‘ছাপানো গল্পটা’-এর মাধ্যমে; এরপরের গল্পটা বলুন…
নাসরীন জাহান : লেখালেখির শুরু ছড়া দিয়ে। তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় প্রথম সংখ্যায় গল্প লেখার জন্য শিশু একাডেমি থেকে চিঠি এলো। স্কুল থেকে গল্প লেখার কথা জানানো হলো। কিন্তু তখনও আমি গল্প লিখতে জানি না। আমার শিক্ষিকা আমাকে বললেন, ‘যে ছড়া লিখতে জানে, সে গল্পও লিখতে পারবে।’ সেদিন বাসায় গিয়ে আমার জীবনের প্রথম গল্পটি লিখি। গল্পের মূল কাহিনি ছিল এমনÑএকটা মেয়ে স্বপ্নে দেখে তার গল্প পত্রিকায় ছাপানো হবে। একটা সময় মনের কথাগুলো সাজিয়ে নিয়ে মেয়েটি তার অনুভূতি প্রকাশ করে গল্পের মাধ্যমে আর গল্পের নাম দেয় ছাপানো গল্পটা। ওই বছর প্রথম সংখ্যায় লেখাটি ছাপানো হয় এবং প্রচুর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আশেপাশে সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, আমি কীভাবে এমন একটি গল্প লিখতে পেরেছি!
আপনার চঞ্চল কিশোরীবেলার দিনগুলোকে মনে পড়ে?
নাসরীন জাহান : আমি খুব চঞ্চল ছিলাম। ক্লাস ফোরে যখন পড়ি, ফুফু আমাকে ঢাকায় নিয়ে এলেন। স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, ময়মনসিংহে পড়ার এত চাপ ছিল না। ফুফু খুব কড়া শাসনে রাখতেন। ক্লাস টু থেকে আমি রাজ্জাক-কবরীর সিনেমা দেখতাম। সিনেমার পোকা ছিলাম। আমার ফুফাত বোনকে বানিয়ে বানিয়ে জিন-পরির গল্প শোনাতাম, সে ভয় পেত। আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে যেতাম আর বলতাম, আজকে আমার সাথে সিনেমা না দেখলে রাতে তোমার খবর আছে। এরকম ভয় দেখিয়ে সিনেমা হলে নিয়ে যেতাম। বোনের জ্বর এসে গিয়েছিল সেদিন।
এভাবে ক্লাস ফোরে থাকা অবস্থায় অনেকগুলো সিনেমা দেখেছি। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখেছি, টিফিনের সময় সহপাঠীরা সিনেমার গল্প শুনতে চাইত, আমি তাদের বানিয়ে বানিয়ে কাহিনি শোনাতাম।
আপনার সাহিত্যচর্চার অনুপ্রেরণায় প্রেম কতখানি জায়গা দখল করে রয়েছে?
নাসরীন জাহান : প্রেম ছাড়া একটা মানুষের অস্তিত্ব নেই। যারা প্রেম প্রকাশ করতে পারে না, বলতে পারে না বা নানা প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে প্রেমকে সমাজের কাছে তুলে ধরতে পারে না, তারা প্রেমের গল্প লিখে, কবিতা লিখে, গান লিখে নিজের ভাব প্রকাশ করে। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে নিজের অনুভূতির জায়গাটা শক্তিশালী করে তোলে। সৃষ্টিশীল মানুষমাত্রই প্রেমিক, সে সাহিত্যের মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।
সাহিত্যে প্রেম-আবেগ, নীতিবোধের জায়গা থাকাটা কতখানি প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
নাসরীন জাহান : সংহত হতে হবে, কিছু লিখতে হলে আগে খসড়া করতে হবে। যুক্তিহীন আবেগ যাতে প্রতিফলিত না হয়, সেদিকে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে। লেখকের নিজস্ব আবেগ দিয়ে চরিত্রকে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। আমার প্রেমের গল্পগুলোতে সবসময় একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে, আবেগ প্রকাশে নিয়ন্ত্রণ রেখে পাঠককে তুমুল আবেগের মধ্য দিয়ে আকর্ষণ করা সম্ভব। দুর্মর আবেগ দিয়ে একটি গল্প/উপন্যাসের চরিত্রকে সামনের দিকে ধাবিত করা যায়।
পাঠকের নিকট লেখক নাসরীন জাহান জনপ্রিয় এবং সিরিয়াস ধরনের সাহিত্যিক, কীভাবে উপভোগ করেন বিষয়টি?
নাসরীন জাহান : বেশি বই বিক্রি হওয়াটা জনপ্রিয়তার একটা মাপকাঠি, সে ক্ষেত্রে আমার উড়ুক্কু ছাড়া তেমন বই বিক্রি হয়নি। আমার বই একবার পড়লে অনেকেই বোঝেন না, দুই-তিনবার পড়ার পরে বুঝতে পারেন। উড়ুক্কু যখন পুরস্কার পেল, তখন আমার পরিচিতি তৈরি হতে শুরু হলো। এক বছর আগে বইমেলার স্টলে বইটি পড়ে ছিল, বিক্রি হচ্ছিল না। পরের বছর বইটির কথা মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই জানতে পারল, সেবার সব বই বিক্রি হয়ে গেল। তখন লেখকদের বই যেকোনো স্টল থেকে বিক্রি হতো। সব লেখক একটা বিষয়ে আফসোস করবে, যখন থেকে মেলাটা হয়ে গেল প্রকাশককেন্দ্রিকÑআমার পাঠক ধীরে ধীরে কমে এলো। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়, তারা আমার লেখা পড়ে বাহ্বা দেয়; কিন্তু আমার নিজেকে কখনও জনপ্রিয় লেখক মনে হয়নি।
প্রেমের চিঠি পান এখন?
নাসরীন জাহান : কয়েকটা পেয়েছি। একজন বলেছিল, ‘আপনাকে এত দ্রুত কে বিয়ে করতে বলেছিল? উড়ুক্কু পড়লাম কিন্তু আপনার সম্বন্ধে জেনে খুব আহত হলাম। এত ভালো লেখেন, নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখেননি? আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারতেন না?’
‘রাইটার্স ব্লক’ হয় আপনার, তখন হঠাৎ প্রেমানুভূতি হলোÑকীভাবে প্রকাশ করবেন?
নাসরীন জাহান : রাইটার্স ব্লক হয়েছে এমন সময় প্রেম! প্রেম এলে আমি লিখতে পারি না। প্রেম এলেই কিছু লিখে ফেলা মানে সেই প্রেমের গভীরতা কম। প্রেম মানে কিছু করতে ইচ্ছে করবে না, কিছু ভালো লাগছে না। এমন অনুভূতি কোনো ভাষাতেই প্রকাশ করা যাচ্ছে না, মাঝে মাঝে মনে হবে, মরে যাই।
কবি চন্দ্রাবতী প্রেমে দুঃখ পেয়ে নিজেকে জনবিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলে এবং নির্মাণ করেছিলেন নিজের কাব্যভুবন। আপনিও ময়মনসিংহের কন্যা, তাকে নিয়ে কি কিছু লেখার ইচ্ছে আছে?
নাসরীন জাহান : এটা নিয়ে কাজ করা মানে বিশাল একটা ব্যাপার। আমার ‘সিসেম দুয়ার খোলো’ বইটিতে চন্দ্রাবতীর প্রেম-বিচ্ছেদের কিছু অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সে জন্য চন্দ্রাবতীর বাড়িতে গিয়েছি, আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলেছি, বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি। বইটিতে একটি যাত্রাপালার অংশ আছে। সে সময়কে কেন্দ্র করে নতুন করে কিছু কবিতাও রচনা করি।
‘নারীর প্রেম ও তার বিচিত্র অনুভব’Ñএই বইয়ে যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, নারীবাদ ও নারীপ্রেম দুটো কি বিপরীতমুখী নয়?
নাসরীন জাহান : নারীবাদকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, আমি এসবের মধ্যে নেই। আমি তখন জার্মানিতে। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ‘নারীবাদ বলতে তুমি কী বোঝ?’ আমি বললাম, ‘ধরুন, হাসবেন্ড, ওয়াইফ দুজনেই বাইরে কাজ করে, দুজনেই কাজ শেষে বাড়ি ফিরল। আমি চাই দুজন দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখুক, বুঝুক, জিজ্ঞেস করুক, আজকের দিনটা কেমন গেল? মেয়েটি ঘর-বাহির দুটোই সামলাতে পারে বলে তাকেই সব করতে হবেÑব্যাপারটা এমন হোক আমি চাই না, এটাকে আমি নারীবাদ বলি না। এটা কোনোভাবেই নারীবাদ হতে পারে না। পুরুষশাসিত এই পৃথিবী, এটা অস্বীকার করবার কিছু নেই। কিন্তু একটা মেয়ে পুরুষের চেয়ে কাজে, কর্মে, বুদ্ধিতে এগিয়ে থাকলেও তার সম্মান, তার মূল্যায়ন কেউ করতে জানে না। একজন নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিক পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম। পরিবার শিখিয়েছে পুরুষদের কাঁদতে হয় না। এটা তো একটা আবেগ, তাহলে কেন একজন পুরুষ কাঁদতে পারবে না? এসব বদলানো দরকার। নারীদের যে আবেগ, অনুভূতির জায়গা রয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রেও এসব থাকতে হবে। প্রেমও ঠিক এমনই তো, দুজন মানুষ দুজনকে বুঝে থাকে ভালোভাবে।
আপনার গদ্য ব্যাপকভাবে কাব্যতাড়িত; কবিতা যখন লেখেন তখন আপনার মনে কী ধরনের প্রভাব তৈরি হয়?
নাসরীন জাহান : কবিতা আমি খুব সিরিয়াসলি লিখি না। আসলে আমার মাথায় এত কাব্যের বিচরণ, এই অনুভূতিগুলো কিছুটা বের করে লিখে রাখি। যাতে করে আমার গল্প বা উপন্যাস লিখতে সুবিধে হয়। এভাবেই আমার কবিতা লেখা শুরু। তারপর আমার কবিতা অনেকেই পছন্দ করা শুরু করলেন, অনেক কবিও প্রশংসা করলেন আমার কবিতার। কবিতা মাথায় এলেই খুব দ্রুত লিখে রাখতে পারি। যেখানে গল্প বা উপন্যাসে অনেক সময় লাগে।
আপনার লেখা ভিন্ন ভাষাভাষী পাঠকের কাছে দেখতে চান?
নাসরীন জাহান : আমি আসলে হতাশ, উড়ুক্কু অনুবাদ করা হলো। পেঙ্গুইন প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। ভাষার দুর্বোধ্যতায় বইটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। বইটি অনুবাদ করেন অনুবাদক কায়সার হক। তিনি ‘প্রথম আলো’তে লিখেছিলেনÑ‘নাসরীন জাহানের বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে ভাষার এত দুর্বোধ্যতা অনুভব করেছি! এই কাজটি করতে খুব কষ্ট হয়েছে। আমি আর কখনো কোনো উপন্যাস অনুবাদ করব না। এর আগে রবীন্দ্রনাথের বই অনুবাদ করেছি, কিন্তু এমন বেগ পেতে হয়নি।’ তাই আমার হতাশার কারণ আছে, এখন আশাও করি না।
আপনার নিজের প্রেমের গল্পটা বলুন…
নাসরীন জাহান : আশরাফ তখন ঢাকায় পড়ত। সে ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে জীবনসংগ্রাম করছিল। একটা মেয়েদের স্কুলে চাকরি নিল। স্কুলের মালিকের মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ত, সে আশরাফের প্রেমে পড়ল। আশরাফ খুবই রাগান্বিত হয়ে মেয়েকে বলল, ‘তুমি একটা বাচ্চা মেয়ে, তুমি টিচারের প্রেমে পড়েছ, তোমার লজ্জা লাগে না?’ চিঠিও লিখেছিল। আমি তখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত, দৈনিক বাংলায় আমার লেখা ছাপা হয়েছে, কবি আহসান হাবীবের পাতায়। আহসান হাবীবের সাথে আশরাফের দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। আশরাফের কবিতা ছাপা হয়, আমার গল্প ছাপা হয়। কবি নাসির আহমেদ আমাদের পারিবারিক বন্ধু, আশরাফেরও ভালো বন্ধু। আব্বা তখন অসুস্থ ছিলেন। আম্মাও বুঝতে পারলেন, আমি এখন যথেষ্ট পরিণত, আমার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। একটা ছেলেকে আমি পছন্দ করতাম, কিন্তু বলা হয়নি; সেজন্য কিছুটা বেদনা ছিল। পরে আমি ঢাকায় দৈনিক দেশ পত্রিকার অফিসে এলাম, আশরাফের সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হলো। নাসির আহমেদকে আম্মা বলেছিলেন যে, ‘আমার মেয়েটা সাহিত্যিক ছাড়া বিয়ে করবে না। তুমি এমন কারও সন্ধান দিতে পার কি না দেখ।’ নাসির আহমেদের সাথে আশরাফ কয়েকবার আমার গ্রামের বাড়িতে গেছে, এসব আমি আগে জানতাম না। একদিন নাসির আহমেদ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার কি মনে আছে ছেলেটার কথা?’ বললাম, সে রকম উল্লেখযোগ্য কাউকে মনে পড়ছে না। পরে নাসির আহমেদ আমাকে আশরাফের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলেন। নিচতলায় একটা ফ্ল্যাট ছিল, আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম, আশরাফ সাদা একটি শার্ট পরে বের হলো। তারপর আমার মনে পড়ল, আগে আশরাফের সাথে আমার কথা হয়েছিল। আমি কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলাম যে, আহসান হাবীবের বাসার কথা বলে নিয়ে গিয়েছিল নাসির আহমেদ। এটা উচিত হয়নি। তখন আশরাফ আমাকে বলল, ‘যদি মনে হয় আপনি ভুল করেছেন এসে, তাহলে চলে যেতে পারেন।’ এই কথাটি আমার ভালো লেগেছে। আমি ফ্ল্যাটে ঢুকলাম, রুমে দেখলাম অনেক বই, ক্যাসেট প্লেয়ার (আমি যেসব শিল্পীর গান পছন্দ করি), তার ব্যক্তিত্বÑসবকিছু মিলে খুব মুগ্ধ হচ্ছিলাম। বিশ্বসাহিত্য, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, কবিতা, গল্পে গল্পে আমাদের সময়টা কেটে গিয়েছিল। সেবার ঢাকায় তিনদিন ছিলাম, আশরাফের সাথে প্রতিদিন দেখা হয়েছে। আমার লেখার অনেক প্রশংসা আর একটু পর পর জিজ্ঞেস করে, ‘আপনি কীসে পড়েন?’ আমি তো বলি না, তখন আমি ম্যাট্রিক দিয়ে ঢাকায় এসেছি। আমি তো কিছু বলি না, আমার তো মাথায় আছে তার ছাত্রীকে সে কী কথা বলেছিল, ক্লাস টেনে পড়ে প্রেমপত্র লিখেছিল বলে। এরপর একদিন সে জেনে গেল, আমি কেবল স্কুল পাস করেছি। এই সিদ্ধান্তটা ছিল সবটুকু আবেগতাড়িত হয়ে নয়, আবেগ-ভালোলাগা অনেক কিছু ছিল, আমি আগে থেকে ভেবেছি, বিয়ের জন্য কেমন মানুষ দরকার। আমি বরাবর পরিণত চিন্তা করতে পারতাম। আমার লেখালেখির সুবাদে এমন কিছু বিষয় নিয়ে লিখতে হয়েছে যে, যা অনেকেই আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করেন।